সিবিআইয়ের আইনজীবীর বাণী যেন এক মহৎ নাটক, যেখানে অপরাধের মহিমা লঘু করতে এক অপার দক্ষতা প্রকাশ। পুলিশের নতমুখী ভূমিকা, অভিজিৎ মণ্ডল নামের একজনের নিষ্কৃতি, সমস্তটাই যেন এক নাটুকে উপস্থাপনা। নেতাদের দায়িত্বহীনতায় সমাজের অন্ধকার উজ্জ্বল হয়, আর আমরা শুধুই দর্শক!
রাজনীতির অন্ধকার অধ্যায়ের খোঁজে
সিবিআইয়ের আইনজীবীর বক্তব্যে উঠে এসেছে একটি গভীর সংকট: “গোটা অপরাধকে লঘু দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে,”— কিন্তু কি বলবেন সাধারণ মানুষ? এই সংকটে, সুপ্রিম আদালতের ন্যায়বিচারের প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকর?
পুলিশের গাফিলতি এবং অভিযুক্তদের গ্রেফতার
পুলিশের অদক্ষতার দায় কেবল তাঁদের নয়, বরং গোটা প্রশাসনকেই দেখানো উচিত। অভিজিৎ মণ্ডল নামক পুলিশের অগ্রাধিকার প্রকাশ্যে, অথচ গ্রেফতার করা হয়নি। আদালতের অঙ্গনে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসের প্রাসঙ্গিকতা ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে।
জনতার চেতনা ও নেতৃত্বের দায়িত্ব
রাজনীতির মাঠে এই বিতর্কজনক পরিণতি সমাজের অন্তরালে একটি গভীর পরিবর্তনকে নির্দেশ করে। কি করে সমাজের প্রতিনিধিরা নিজেদের সাফাই গাইতে পারেন? জনতার অধিকার, সেই অধিকারদের কথা কেউ আজ আর ভাবছে কি?
প্রতিক্রিয়ার ঊর্ধ্বে
রবীন্দ্রনাথের চিন্তন, “মানুষের প্রয়োজন সে নিজে বোঝে না,” এটি যেন এখন রাজনৈতিক নেতাদের জন্য একটি মিনতিনামা। জনতা জেগে উঠলে যে সমস্ত দাবি নিয়ে সরব হয়, তা কি রাজনৈতিক নেতাদের কাছে গণতন্ত্রের সঠিক প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হবে?