করণ কপূর খানের ‘দ্য বাকিংহাম মার্ডারস’ ভারতীয় বক্স অফিসে শুরুতেই হতাশ করেছে। মাত্র ১.১৫ থেকে ১.৩৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করে এটি বাজারে নেতিবাচক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ছবির ট্রেলারের কারণে দর্শকদের আকর্ষণ কমে গেছে, যা চলচ্চিত্রের শিল্পে প্রযোজকের প্রতি সংশয়ের সঞ্চার করেছে। এখন দেখার বিষয়, শনিবার ও রবিবার ব্যবসা বাড়িয়ে সোমবারের পরীক্ষায় সফল হতে পারে কিনা।
বলিউডের সোনালি সময়কে বিদায় জানানোর সময় এসেছে?
কারিনা কাপূর খানের নেতৃত্বাধীন “দ্য বাকিংহ্যাম মার্ডার্স” ভারতের বক্স অফিসে একটি দুর্বল সূচনা করেছে। প্রথম দিনেই সিনেমাটি ১.১৫ থেকে ১.৩৫ কোটি টাকার মধ্যে আয় করেছে, ফলে বাণিজ্যের বাস্তবতা আবারও হতাশায় প্রবাহিত হচ্ছে।
সীমিত মুক্তি, বৃহত্তর চ্যালেঞ্জ
এই সিনেমাটি ভারতের ৭০০টি পর্দায় সীমিত মুক্তি পেয়েছে এবং সপ্তাহান্তে ব্যবসায়ের বৃদ্ধির আশা করছে। হংসাল মেহতা পরিচালিত এই সিনেমা শনিবার দ্বিগুণ আয়ের লক্ষ্য রাখবে এবং ৬ কোটি টাকার ওপেনিং উইকেন্ডের দিকে যাত্রা করবে। এখানে মূল চ্যালেঞ্জ হল সোমবারের পরীক্ষা, যেটি এটা প্রমাণ করবে যে এরা সফল হতে পারবে কি না।
ট্রেলারের প্রতিক্রিয়া
দ্য বাকিংহ্যাম মার্ডার্স’ সমালোচিত হয়েছে তার ট্রেলারের জন্য; যা একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের পণ্য মনে হচ্ছিল। সিনেমাটির শুরু থেকে এটি একটি নিম্নগামী পণ্য বলে মনে হচ্ছিল, আর কারিনা কাপূরের উপস্থিতি মাত্র ১ কোটির ওপরে ব্যবসা করতে সক্ষম হয়েছে।
ভবিষ্যতের দিকে দৃষ্টি
এটি একটি ব্যর্থতা বলা যেতে পারে, কিন্তু আমাদের দেখতে হবে সিনেমাটির শেষের দিকে এটি কি একটি মুখরক্ষা ফলাফল অর্জন করতে পারে। এই পরিস্থিতির মধ্যে, আমরা কি বলি? কি সত্যিই আমাদের সেরা সময় শেষ হয়ে গেছে?
গভীর চিন্তা ও বিনোদনের দুনিয়া
বলিউডের বর্তমান পরিস্থিতি আমাদের ভাবিয়ে তোলে, যেখানে দর্শকের পছন্দ পরিবর্তিত হচ্ছে এবং গল্প বলার ধরনও পরিবর্তিত হচ্ছে। সিনেমার বিষয়বস্তুর এবং শিল্পীর প্রদর্শনের উপর আমাদের সমাজের যে প্রভাব পড়ে, তা আজকাল অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে।
পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা
বলিউড কি সত্যিই একটি নতুন দিশায় এগিয়ে যাচ্ছে? কি কারণে সিনেমাগুলি দর্শকদের মনের গভীরে পৌঁছাতে ব্যর্থ হচ্ছে? সময় এসেছে ভাবনার, সময় এসেছে সংস্কারের।